মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় দুই মাস দোকানপাট বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে খুলে দেয়া হলেও বরগুনার বাজারে মানুষের ভিড় প্রচণ্ড।সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বেচাকেনার সময়ে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। লংঘিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি । ফলে নতুন করে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, তারা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। কিন্ত বাজারে অস্বাভাবিক ভিড় থাকায় তা মানা যাচ্ছেনা। এদিকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় করোনাভাইরাসে ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।এর মধ্যে জেলার ছয় উপজেলায় আক্রান্তে দিক থেকে বরগুনা সদর উপজেলা এগিয়ে। সদর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বরগুনা শহরের গার্মেন্টস, কাপড়, কসমেটিকস ও জুতার দোকানগুলোতে ভিড় প্রচণ্ড। একে অপরের সাথে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছে। এছাড়া বেশিরভাগ দোকানেই বিক্রেতাদের মাস্ক ও গ্লাভস নেই। কেউ মাস্ক পরলেও তা নাক ও মুখের বাইরে থুতনিতেই ঝুলিয়ে রাখছেন। অন্যদিকে দোকান খোলার আগেই এসব দোকানের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন শতশত মানুষ।
ইসরাত জাহান নামের এক ক্রেতা তার মেয়ের জন্য পোশাক কিনতে এসেছেন।বাজারে মানুষের ভিড়ে কেনাকাটা করতে হুমশিম খাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এতো মানুষের মাঝে কিভাবে কেনা কাটা করবো।ঈদের আগেই বাজারে মানুষের অস্বাভাবিক ভিড়।এমন হলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।তখন পরিস্থিতি আরো অস্বাভাবিক হবে।আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন প্রশাসনের উচিত দোকান পাট বন্ধ করে দেয়া, নয়ত এভাবে বাজারে মানুষের ভিড় বাড়লে আমাদের করোনা থেকে কোনো রক্ষা নাই । আগে মানুষ বাঁচাতে হবে।’ বরগুনা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘দোকানপাট খোলার পর যেভাবে মানুষ বাজারে ভিড় করছে তাতে করোনার সংক্রমণ এড়ানো যাবে না। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাস্ক-গ্লাভস ব্যবহার করে বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply